ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু তথ্য । দেখে নিন ভ্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং কি কি লাগবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত সব তথ্য পাবেন নিচের লিংক এ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফরম চয়েস করুন নিচের লিংক থেকে
http://www.brta.gov.bd/index.php/forms-fees?id=42
অথবা সরাসরি নিচের লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
Latest%20Bangla%20DL%20form.pdf
লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই দালালের হাতে পড়ে পোহান অনেক যন্ত্রণা। লাইসেন্স সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য।
* মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কয়েক শ্রেণীর হয়ে থাকে। যেমন- 1. শিক্ষানবিশ লাইসেন্স 2. পেশাদার লাইসেন্স 3. অপেশাদার লাইসেন্স 4. পিএসভি লাইসেন্স, 5. ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স।
* আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে 20 বছর এবং অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য 18 বছর হতে হবে।
* আবেদন ফরম: ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ঢাকার মিরপুরের বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির অনুসন্ধান কাউন্টার থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ফরমের দুই পৃষ্ঠায় দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগিয়ে সঠিক নিয়মে ফরমটি পূরণ করে আরও দুটি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং রক্তের গ্রুপের সনদপত্র একসঙ্গে যোগ করে বিআরটিএর সংশিস্নষ্ট শাখায় জমা দিতে হবে। জমা দিয়ে জমা রসিদের তিন কপি বুঝে নিন।
[আন্ডার]ফরম যেভাবে পূরণ করবেন[/আন্ডার
1. পেশাদার বা অপেশাদার আপনি যে লাইসেন্স পেতে চান সেটাতেই চিহ্নিত করুন।
2. মোটরযানের শ্রেণী অনুসারে মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্সের কয়েকটি শ্রেণী আছে- মোটরসাইকেল, মোটরকার, মোটরক্যাব, হালকামানের মোটরযান, মাঝারিমানের মোটরযান, ভারিমানের মোটরযান, ট্রাক্টরের যেটি আপনি চান, তাতে দাগ দিন।
3. তারপর আবেদনকারীর নাম, ঠিকানাসহ পূর্বের শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের বিবরণ, প্রশিক্ষকের নাম ও ঠিকানা, প্রশিক্ষকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর ও তারিখ লিখুন।
4. মেডিকেল ফরমের অংশটুকু একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তার কতর্ৃক পূরণ করাতে হবে। ডাক্তার প্রাথর্ীর মেডিকেল চেকআপ করে ফরমে উলিস্নখিত প্রশ্নের বরাবর খালি জায়গায় উত্তরগুলো লিখে নিচে নির্ধারিত স্থানে ডাক্তারের স্বাক্ষর, নাম, রেজিঃ নম্বর বসাবেন।
[আন্ডার]লাইসেন্স যেভাবে পাবেন[/আন্ডার]
0 জমা রসিদের তিন কপিসহ নির্ধারিত ডাকঘরে গিয়ে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ফি 100 টাকা ও দক্ষতা যাচাই ফি 100 টাকা, মোট 200 টাকা জমা দিন। তারপর কতর্ৃপক্ষ 1 কপি রসিদ রেখে বাকি দুই কপি আপনাকে ফেরত দেবে।
0 এই দুই কপি জমা রসিদ নিয়ে আপনি আবার বিআরটিএর সংশিস্নষ্ট শাখায় জমা দিন। কতর্ৃপক্ষ আপনাকে 1 কপি রসিদ ফেরত দেবে আর এক কপি জমা রাখবে।
0 ফেরত কপির মধ্যে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স নেওয়ার তারিখ দেয়া থাকবে এবং ওই নির্ধারিত তারিখে শিক্ষানবিশ লাইসেন্স এসে বুঝে নিন।
0 শিক্ষানবিশ লাইসেন্স লেখা থাকবে কোন দিন লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে এবং সেই নির্ধারিত দিনে 15 মার্কের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলে একই দিনে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং উত্তীর্ণ হলে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য তারিখ জানিয়ে দেবে। নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষায় অংশ নিন।
0 ব্যবহারিক পরীক্ষা তিনটি ধাপে হয়ে থাকে। এ সম্পর্কে কিছু তথ্য- জিগজ্যাগ, র্যাম্প টেস্ট ও রোড টেস্ট।
0 প্রাকটিক্যাল তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী নির্ধারিত ডাকঘরে অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য 1 হাজার 150 টাকা, পেশাদার লাইসেন্সের জন্য 650 টাকা জমা দিয়ে জমা রসিদ গ্রহণ করবেন।
0 জমা রসিদ নিয়ে পস্নাস্টিক লাইসেন্সের জন্য নতুন আবেদন ফরম পূরণ করে সংশিস্নষ্ট শাখায় জমা দিন এবং প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ গ্রহণ করেন। নির্ধারিত তারিখে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ জমা দিয়ে মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করুন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস